পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প
১. সবুজসাথী প্রকল্প
ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়মুখী করতে সরকারের একটি উদ্যোগ হলো সবুজ সাথী প্রকল্প। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত সরকারী ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়গুলির নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা বিনামূল্যে সাইকেল পাবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারা রাজ্য জুড়ে প্রায় ৪০ লক্ষ সাইকেল বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে I শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহ প্রদান এবং স্কুলছুটের হার কমানো এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
২. যুবশ্রী প্রকল্প
যুবশ্রী প্রকল্প শ্রম দপ্তরের অধীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এর মাধ্যমে এক লক্ষাধিক নথিভুক্ত প্রার্থীদের প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।বেকার যুবদের কর্মদক্ষতা বাড়ানো এবং স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে উৎসাহ প্রদান করাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। ২০১৩ সালের October মাসে এই প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হয়। আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। Employment Bank এ তার নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে।
আবেদনকারীকে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে। আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে ।
৩. শিশু সাথীপ্রকল্প
এই প্রকল্পটির মাধ্যমে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে যে সব শিশুর হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন তাদেরকে বিনামুল্যে অস্ত্রোপচার করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গে শিশু স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ পদক্ষেপ অনুসারে রাজ্য সরকার তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং সরকারী হাসপাতালগুলিতে প্রতিবছর ৩০০০ শিশুকে বিনামুল্যে হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচার করবে। ২০১৩ সালের ২১ আগস্টে এই প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয়েছে।
৪. নির্মল বাংলা প্রকল্প
কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের পশ্চিমবঙ্গীয় সংস্করণ হল “মিশন নির্মল বাংলা” প্রকল্প।অর্থাৎ কেন্দ্রীয় প্রকল্পটি নির্মল বাংলা নামকরণের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে চালু হয়েছে।২০১৫ সালের ৩০শে এপ্রিল নদীয়া জেলার সাথে পুরো রাজ্যে এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়। প্রকল্পের উদ্দেশ্য মাঠে-ঘাটে মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাস বন্ধ করা I বিদ্যালয়ে যথেষ্ট শৌচাগার না থাকার কারনে বহু ছাত্রী বিদ্যালয়মূখী হচ্ছে না।এই প্রকল্পের অধীনে ওই বিদ্যালয়গুলিতে পর্যাপ্ত শৌচালয় তৈরি করে স্কুলছুটের হার কমানো।
৫. কন্যাশ্রী
পশ্চিমবঙ্গ সরকার -এর শিশু বিকাশ দপ্তর এবং নারী উন্নয়ন ও সমাজ কল্যান দপ্তর কতৃক রাজ্যের কিশোরী মেয়েদের প্রত্যেককে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় নিয়ে আসার আর এক নাম কন্যাশ্রী। আঠারোর আগে বিয়ে নয় – মেয়েদের বোঝানোর দায়িত্বের আরেক নামও কন্যাশ্রী। ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে বিয়ে না করে নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ শর্তাধীনে মেয়েদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার প্রকল্পের নাম কন্যাশ্রী।
মেয়েরা লেখা পড়া শিখে নিজের পায়ে না দাঁড়ালে, সামনের দিকে এগিয়ে না আসলে রাজ্যের তথা দেশের সার্বিক উন্নয়ন হতে পারে না। নারী শিক্ষার প্রসার ঘটানো ও নারীর ক্ষমতায়ন কন্যাশ্রী-র অন্যতম উদ্দেশ্য। মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কন্যাশ্রী-র প্রধান লক্ষ্য।
কন্যাশ্রী প্রকল্পে দুইধরনের আর্থিক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে- বার্ষিক বৃত্তির পরিমাণ ৭৫০ টাকা ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়েদের ও এককালীন বৃত্তির পরিমান ২৫,০০০ টাকা (অনুর্ধ ১৯ এবং ১৮ বছর অতিক্রান্ত অবিবাহিত মেয়েদের) ।
৬. সমব্যাথী প্রকল্প
গরিবদের জন্য নতুন প্রকল্প চালু করছে রাজ্য সরকার। তবে জীবিতের সহায়তায় নয়, এই প্রকল্পে দুঃস্থ পরিবারের কেউ মারা গেলে তাঁর শেষকৃত্যের জন্য ২ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এইসব প্রকল্পে সাফল্য বিবেচনা করেই পশ্চিমবঙ্গকে স্কচ অর্ডার অফ মেরিট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক উৎকর্ষতা ও সৌন্দর্যায়নের নিরিখে এই খেতাব দেওয়া হয়।
৭. স্বাস্থ্য সাথী
নতুন বিমা প্রকল্প, বছরে মোট সাড়ে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা থাকছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। এর ফলে এই স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা সুবিধা পাবেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আশা কর্মী, অঙ্গনওয়ারি কর্মী, সিভিক পুলিশ, ভিলেজ পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ, হোমগার্ড ও কিছু চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য চালু হলো পরিবার স্বাস্থ্য বিমা I জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর, জেলা পরিষদ, কর্পোরেশন থেকে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পাওয়া যাবে।
৮. শিশু সাথি
এর মুল উদ্দেশ্য, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে যে সব শিশুর হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন তাদেরকে বিনামুল্যে অস্ত্রোপচার করা।
পশ্চিমবঙ্গে শিশু স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ পদক্ষেপ অনুসারে রাজ্য সরকার তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং সরকারী হাসপাতালগুলিতে প্রতিবছর ৩০০০ শিশুকে বিনামুল্যে হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচার করবে। ২০১৩ সালের ২১ আগস্টে এই প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রম আওতায় আনা হবে।
৯. পথ সাথী
রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়কের ধারে পঞ্চাশ কিমি অন্তর মোটেল এবার সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ল। এই মোটেল গুলির পোশাকি নাম ‘পথ সাথী’। এখন রাজ্যের ২৩টি জেলাতেই পথ সাথী মোটেল আছে। প্রতিটি মোটেলেই শৌচালয় ও থাকার ঘর আছে। বাতানুকূল ও সাধারন দুই ধরনের ঘরই আছে।
১০. মুক্তির আলো
পাচার হওয়I মেয়ে ও যৌনকর্মীদের জন্য পুনর্বাসন প্রকল্প ।
১১. রূপশ্রী প্রকল্প
মেয়েদের বিবাহের সময় অনেক সময়ই অতন্ত্য চড়া সুদে টাকা ধার নিতে বাধ্য হন। এর লক্ষ্য হলো মেয়েদের বিবাহের সময় দরিদ্র পরিবার যে আর্থিক সমস্যার সুমুক্ষীন হন তা হ্রাস করা। এই প্রকল্পের জন্য ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। মিলবে ২৫ হাজার টাকা ।
রূপশ্রী ফর্ম যেখানে আপনি পাবেন—–
1. বিডিও অফিস
2. উপ-বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের অফিস
3. কর্পোরেশনের কমিশনার অফিস
আপনার কি দস্তাবেজ প্রয়োজন?
রূপশ্রী ফর্ম এর সঙ্গে জমা দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি দস্তাবেজ রয়েছে।
1. জন্ম নিবন্ধন বা জন্ম সার্টিফিকেটের প্রত্যয়িত অনুলিপি
2. পাত্রের বিবরণ জমা দিতে হবে
3. বিবাহ কার্ড বা অন্য কোন প্রমাণ
আবেদনকারী স্বীকার করেন যে তিনি স্বেচ্ছায় বিয়ে করছেন
5. ভোটার আইডি কার্ড এবং আধার কার্ড
6. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বিবরণ ।
১২. মুক্তিধারা প্রকল্প
রাজ্য স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি প্রকল্পের মন্ত্রী সাধন পান্ডে ঘোষণা করলেন মুক্তিধারা মুক্তিধারা নামক একটি প্রকল্প I গ্রাম বাংলায় বহু শিক্ষিত বেকার আছেন যাঁরা মাটি কাটা, পুকুর পরিষ্কারের কাজ করতে পারেন না, তাঁদের কাজের সংস্থান করে দেবে এই প্রকল্প, দক্ষতা বিকাশ ও উৎপাদিত পণ্যের বিপণনের উদ্দেশ্যে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ তথা বিপণন সহায়ক কেন্দ্র নির্মাণ হবে নার্বাড এর সহযোগিতায় ।
১৩. মাটির কথা পোর্টাল
‘মাটির কথা’ একটি কৃষিভিত্তিক পোর্টাল যা রাজ্য সরকারের কৃষি, কৃষি বিপণন, পশুপালন, মৎস্যচাস এবং উদ্যান পালন- এই পাঁচটি বিভাগ সমন্বয়ে এই পোর্টাল গড়ে উঠেছে। … এবং সার সংক্রান্ত নানা তথ্য, বিবিধ ফসলের চাষপদ্ধতি, ফসলের নানা রোগ ও প্রতিষেধক, কৃষি- জলবায়ু অঞ্চল, এবং বিবিধ ফসল চাষের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে তথ্যের সম্ভার এই পোর্টাল। টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০ -১০৩ -১১০০ ।
১৪. সামাজিক মুক্তি
রাজ্যের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমজীবী মানুষদের কাছে ভবিষ্য নিধি Provident Fund এবং অন্যান্য সামাজিক সুযোগ সুবিধা প্রদান পরিকল্প পৌঁছে দিতে সরকার কার্ড প্রস্তুত করেছে। কার্ডটির নাম হবে ‘সামাজিক মুক্তি কার্ড ।
১৫. সেচ বন্দু প্রকল্প
* সেচবন্ধু’ একটি কৃষক মিত্র প্রকল্প। এর মাধ্যমে রাজ্যে সেচ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য কৃষকদের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা সহ ৪৬,০০০ নতুন পাম্প সেট প্রদান করা হবে। এতে কৃষকদের প্রভূত উপকার সাধন হবে এবং অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে তারা চিরতরে বিরত থাকবেন। ফলস্বরূপ বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা কমবে এবং গ্রামবাংলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিত হবে ।
১৬. প্রাণধারা প্রকল্প
ত্রানের সরজ্ঞাম হিসাবে বোতলবন্দী পানীয় জল দেওয়া শুরু করেছে। ২০১২-১৩ প্রথমবারের মত দক্ষিণ রায়পুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট কমপ্লেক্সে বি. আই. এস স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী এ ধরনের বোতলবন্দী পানীয় জলের কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে। স্কুল চলাকালীন কল থেকে এক টাকায় মিলবে এক লিটার পরিস্রুত পানীয় জল (‘প্রাণধারা’)। আপাতত ১০০টি বিদ্যালয়ে এই জলের ‘পাইলট প্রজেক্ট’ শুরু করছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ।
১৭. শিল্প সাথী
এক-জানলা সংস্থা ‘শিল্প সাথি’ বা রাজ্য বিনিয়োগ সহজীকরন কেন্দ্র (এস, আই, এফ, সি)-র মাধ্যমে বিনিয়োগ প্রস্তাবের সহজীকরন এর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে ।
১৮. মধুর স্নেহ
আগস্ট ২০১৩ তে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব ভারতের প্রথম এবং দেশের সবচেয়ে আধুনিক ‘মানব দুগ্ধ ব্যাঙ্ক’ উদ্বোধন করেন এস এস কে এম হাসপাতালে। এতে আছে পাস্তুরাইজেশন, অত্যন্ত আধুনিক দুগ্ধ সংগ্রহ, নির্বাচন, প্রক্রিয়াকরণ, পরীক্ষা ও ভান্ডা্রিকরনের সুবিধা।
১৯. সুফল বাংলা
মানুষের দরজায় দরজায় তাজা শাকসবজি পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প।
২০. গতিধারা প্রকল্প
আগস্ট ২০১৪ তে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার গতিধারা প্রকল্প চালু করেছে। এই পরিকল্পের রূপরেখা এঁকেছেন অর্থমন্ত্রী ফেব্রুয়ারি-র বাজেটে। যে সব পরিবারের বার্ষিক আয় ২৫০০০ টাকা বা তার কম, এই পরিকল্পের থেকে সাহায্য পেতে পারে। গতিধারা প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিয়ে মাঝারি ও ছোট গাড়ি কিনে চালাতে পারবেন ও রোজগার করবেন ।
These are truly great ideas in about blogging. You have touched some good
factors here. Any way keep up wrinting.